অভিমানী তুমি
চলে
যেওনা
==============================
বৃষ্টি
ভেজা মেঘ
অভিমানী তুমি চলে যেওনা…!
সবেতো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি।
শুভ্র বেলী ফুলের সুভাস মাখিয়ে,
এখনো বলা হয়নি ভালবাসি!
এখনি চলে যেওনা!
শব্দের ছন্দে তোমায়
শিশিরে সিক্ত করা হয়নি।
উচ্ছল প্রকৃতির চোঁখে চোঁখ রেখে,
এখনো তোমার মোহে
সম্মোহিত হইনি।
নিশ্চুপ গভীর মায়ায়
জড়িয়ে ধরা হয়নি!
গোধূলি লগ্নে তোমার
মায়াবী মুখে সপর্শ করা হয়নি!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবেতো এলে!
এখনো তোমায় ভালই
বাসা হয়নি!
তোমার চোঁখে রংধনুর সাত রং মাখিয়ে,
পৃথিবীর বুকে আল্পনা করা হয়নি।
তোমার হাসিতে
মুখোরিত পুষ্প কাঁননে,
বিহঙের কলতান শুনা হয়নি!
একটা রাত তোমার
আবেশে শিহরিত হইনি!
ভোরের মিষ্টি আলোয় চোঁখ মেলে,
তোমার উস্কোখুস্কো চুলে
বিলি কাটা হয়নি!
অভিমানী তুমি, চলে যেওনা!
সবেতো এলে!
তোমায় এখনো
ভালবাসাই হয়নি!
তোমায় ছাড়া যার ভোর হয়,
সে তো বড় হতভাগা!!
তোমার আবেশে যার
চোঁখের পাতা এক না হয়,
সে তো কলংকিনী!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবে তো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি!
সবে তো দেখা হলো..!
তোমার ভাগ্যে আমার
জীবন শুরু হলো।।
এখনো ভালবেসে
ভালবেসে ক্লান্ত হইনি।
সবে তো তোমার ইচ্ছেয়
আমার পথ চলা শুরু হলো,
এখনি থেমে যেতে বলোনা!
সবে তো তোমায় ভালবাসলাম।
এখনো ছন্দের সুঁতোয় শব্দ
দিয়ে কবিতা লিখা হয়নি।
অভিমানী তুমি চলে যেওনা…!
সবে তো এলে,
এখনো ভালবাসাই হয়নি।
আমাকে ভুল বুঝনা
==========================
আমাকে ভুল বুঝনা
তোমার নিজ গুনে আমায় ক্ষমা করে দিও,
আমাকে ভুল বুঝনা
যত দূরেই থাকো তুমি আমার আশীষ নিও ।
আমাকে ভুল বুঝনা
অনেক কিছু হয়তো বলতে পারিনি সেদিন,
আমাকে ভুল বুঝনা
আজ আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খায় তোমার ঋণ ।
আমাকে ভুল বুঝনা
যদি কোনদিন তোমার সনে দেখা হয় মোর,
আমাকে ভুল বুঝনা
সেই স্বপ্ন দেখে ফিরে জীবনের প্রতিটি ভোর ।
আমাকে ভুল বুঝনা
তুমি দেখো আমার নীরব ক্লান্ত নিঃসঙ্গতা,
আমাকে ভুল বুঝনা
তোমায় হারিয়ে যাচে আমার শত নীরবতা ।
আমাকে ভুল বুঝনা
তোমাকে কাছে পেয়ে হারাই আমি নির্বোধ,
আমাকে ভুল বুঝনা
আমি কেঁদে আঁখি জলে করিযে তার শোধ
কি সুন্দরী
তুমি
======================
কি সুন্দরী তুমি
হাওয়ার আদরে তোমার চুল উড়ছে
এই তো কাছে দাঁড়িয়ে তুমি।
আকাশের চাঁদের পানে চেয়ে দেখি
নক্ষত্ররা গোল মিটিঙে বসেছে
সবাই শুধু তোমার কথা বলছে।
আমি অবাক হয়ে ভাবছি
কি সুন্দুরী তুমি
জোত্স্নার নীল আলো আমার চোখে
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আমি।
তোমার শেওলা রঙের শাড়ির আঁচলে
জোত্স্নার জারিজুরি ,কাটাকুটি
তুমি হাসছো ,হাসছো আমার চোখে।
আকাশের চাঁদে আজ পূর্ণতা
সেই আলো জড়িয়ে তোমার মুখে।
নেমে যাচ্ছে তোমার থুতনি বেয়ে তোমার শরীরে
অসাধারণ এক কবিতার মতো
আমি ছুয়ে যাচ্ছি তোমায়
ভেসে যাচ্ছি জোত্স্নার আলোয় তোমার বুকে।
তুমি আমার পরী
======================
তুমি আমার পরি
আমি ভালবেসে তোমাকে চাইছি
ভিষন চাইছি।
আমি সারাদিন তোমার অপেক্ষায় থাকি
তোমায় একটি বার দেখার জন্যে
রাতের অপেক্ষা করি
স্বপ্নে তোমায় পাব বলে।
তুমি আমার পরী।
তুমি আমার দিন,তুমি রাত্রী
তুমি আমার তৃষ্না,
তুমি সময়,
আমার জীবনে ভরেছো রঙ তুমি
তুমি খুব রঙিন।
তুমি সুন্দর
তুমি কোমল
তুমি আগুন।
তুমি নিঃসঙ্গ একটি
ঝরা পাতা
আমার নিঃসঙ্গতার তুমি
সাথী।
তুমি আমার প্রেম,তুমি
আশা,
তুমি ভোর বেলার এক
ঘন কুয়াশা।
তুমি শেষ বিকেলের
ঢলে যাওয়া আলো
অন্ধকারের আলো তুমি,
তুমি আমার জোৎস্না,
তুমি কল্পনা,
তুমি বাস্তব।
আমার নিস্তব্ধ জীবনের
তুমি শব্দ।
তুমি জ্বল নও
তুমি হলে বৃষ্টি,
তুমি আমার দূর্বলতা
তুমি শক্তি।
তুমি আমার জলন্ত ইচ্ছা,
আমি জ্বলছি তেমার প্রেমের আগুনে
তুমি নিষ্ঠুর,তুমি জাদুগরি।
চুম্বকের মত আমায়
করছ আকর্ষন
তুমি এক ভাবনার ছায়া হয়ে
ছেয়ে ফেলেছ আমায়।
তুমি আমায় করেছ
পূর্ণ
তোমার নেই কোন শেষ।
তুমি প্রেরণা আমার
তুমি আমার লক্ষ,
তুমি আমার কবিতা
তুমি আমার বাক্য।
তুমি চিরকালের জন্য
আমারই
তুমি আমার পরী।।
বুঝলেনা তুমি
==================
তুমি বুজলেনা
এই হৃদয় জুড়ে
রয়েছে শুধু তোমারি ছবি...
তুমি শুনলে না
এই মনের প্রতিটি ছন্দে
জড়িয়ে রয়েছে শুধু তোমারি কথা...
তুমি বললেনা
কতটা আমায় তুমি
আজো ভালোবাসো...
তুমি জানলেনা
আমার লুকানো হাসিতে
রয়েছে কান্নার দল...
তুমি খুজলেনা
তোমারি মনের ক্যানভাস এ আমারি ছবি
তুমি আজো অনুভব করলেনা
কতটা আমি তোমায় ভালবেসেছি
লুকোচুরি
----------------------------------
তোমায় নিয়ে মনের ভিতর
পসরা সাঁজাই যত
চোখের আড়াল করে তুমি
লুকাও তোমার ভালবাসা তত।
তোমার যখন ইচ্ছে করে
আমায় ভীষণ দেখতে
ডাকো অতি সহজ ভাষায়
পারবে কি একটু আসতে?
ক্যান্টিনে বসে উদাস হয়ে
যখন তোমার দিকে তাকাই
ব্যস্ত তুমি অর্ডার নিয়ে
যেন আমি দৃষ্টি ঘুরে ফেরাই।
ওপাশ ফিরে তাকিয়ে তুমি
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ো যতো
বুঝতে পারি চাঁপা অনুভূতি
ভেতরে তোমায় করছে ক্ষত-বিক্ষত ।
সবার চোখে ধুলো দিয়ে
তুমি পথ চলতে পারো বেশ
যেন সুখী সুন্দর জীবন তোমার
একটু নেইকো দুঃখের রেষ।
মনটা তোমার ইস্পাতে গড়া
দেহটা এক ইট-পাথরে গাঁথা
কষ্টের হাতু্ড় দিয়ে আঘাত করলেও
তুমি দাঁড়িয়ে রয়েছ যেথা-সেথা।
তোমার মনের ইচ্ছা তোমায় যখন
তারা করে আমার কাছে আসতে
তুমি তখন পাগলছুটো হও
আমায় ভীষণ ভালবাসতে।
কাছে এসে অতি আনমনে হও
অবুঝের মতো রত হও যেন কি ভাবতে,
সববুঝে কাছে এসে তখন ইচ্ছা করে
ভালবাসা দিয়ে তোমায় পাগল করে তুলতে।
আমি বুঝি, যতই তোমার ইট-পাথরের শরীর,
একটু ছুঁলেই মমের মতো সব সমাধি-সলীল।
কিন্তু আমি যে খুঁজি তোমারি ইশারা.......
যেটা পেলেই আমি হবো দিশাহারা............
তোমারে বাসিবো, বাঁধিবো তোমারে পড়তে পড়তে
তিমির অন্ধকারে আলো ছড়াবো,
তোমার হৃদয়ের গ্লানি মুছে দিয়ে সব-
সিক্ত করে স্নিগ্ধতা ছড়াবো তোমার দুধে আলতা গায়।
তুমি শুধু হাতটা একটু দিলে বাড়িয়ে-
তোমারে জড়িয়ে আকাশের ঐ জ্যোৎস্না দেখিবো
পরশে পরশে মুগ্ধ মাতাল করিবো
তোমার চুলের ঘ্রাণে স্নিগ্ধ হবো এই মধু পূর্ণিমায়।
তোমার তরে
হাসিমুখে
===========================
তোমার তরে হাসিমুখে
একদিন দেখেছিলাম সুন্দর এক স্বপ্ন,
নদীর তীরে আমরা বসেছিলাম মগ্ন!
যখন তুমি ধরেছিলে আমার হাত-
পুষ্পসম প্রস্ফুটিত হয়েছিল প্রভাত!
কানে কানে বলেছিলে চুপি চুপি-
মৃদু বাতাস করেনি কোন কারচুপি!
আমার হৃদয়ে লেগেছিল এক সাড়া-
তুমিই আমার অন্তরে দিয়েছিলে নাড়া!
তোমার জন্য ফুল তুলতে চাইলাম একটি,
তখন শুরু হয়ে গেল মুশল ধারে বৃষ্টি!
আমি তোমাকে বলেছিলাম, ‘এস প্রিয়তম!’
লজ্জা পেয়ে তুমি হয়েছিলে অবনত!
আমার জীবনে তুমি দিয়ে দিয়েছো দোলা
আমার জীবনে যদিও ছিল কত ঝামেলা!
তোমাকে কত ভালবাসি, এটা রেখ স্মরণ,
তোমার তরে হাসিমুখে মৃত্যু করবো বরণ।
তোমারে বাসি
যে
ভালো
===========================
তোমারে বাসি যে ভালো
আমি তোমারে বাসি যে ভালো
ডুবেছিলাম তোমার হৃদয় প্রান্তরে
অনেক মধুর মুহূর্ত হারিয়ে
খুঁজেছিলাম তোমার চোখে আলো।
ঘৃণা অপমান লাঞ্ছনা সয়ে
গুরু স্বজনের অভিশাপ লয়ে
সবার ভালবাসা ফিরিয়ে দিয়েছি
চেয়েছি শুধু আমার বুকে একটু ভালবাসা জ্বালো।
তোমার জন্য সব হারিয়ে ভিখারি সেজেছিলাম
প্রাপ্তি বলতে শুধু তোমার ভালবাসা নিয়েছিলাম
কিন্তু তুমি আমায় ফিরিয়ে দিয়ে ভালবাসা দুমরে-মুচড়ে
ডাস্টবিনে পতিত করে আমায় করলে কালো।
আমার নিভু প্রানে আবার আলো জ্বালালাম
তোমার দেয়া কষ্টের চাপে ক্রমেই স্মৃতি হারালাম
এরই মধ্যে কে-যে আমার হৃদয়ে কড়া নেড়ে নেড়ে
শ্রম দিয়ে আমারে সে নিজের করে নিলো।
তোমার ভালবাসার তৃষ্ণার বেগ তার তরে করে পতিত
সব ভুলে যখন জীবন-বাস্তব নিয়ে অবিরত
দেখি তুমি পিষ্ট হয়ে আমার দুয়ারে এসে হোচ্ছ নত
কিন্তু আমি তো চাইনি তুমি অন্য স্রোতে গাঁ ভাসিয়ে চলো।
আসলে তোমার শেষ হয়েছে ভালবাসার মেলা
এখনও তুমি আমায় নিয়ে করো লুকোচুরি খেলা
সময় আমারে দূরে ঠেলে দিলেও তুমিতো বোঝনি আমায়
বোঝনা আজও, কতটা তোমারে বাসি যে ভালো।
রঙ্গিন কষ্ট
দিন পেরিয়ে সূর্য যখন আঁধার তলে যায়
সাত রঙা সেই কষ্ট আমায় কুড়মুড়িয়ে খায়।
সাঁঝের কষ্ট লাল বেগুনি মাঝের কষ্ট নীল
ভোরের কষ্ট শুভ্র সাদা জানে শুধু অনিল।
সকাল বেলার সবুজ কষ্ট আঁকড়ে থাকে চোখে
দুপুর বেলায় গোলাপ কষ্টে হাসি ফোটায় মুখে।
বিকাল বেলার হলুদ কষ্ট পাঁকা ধানের ক্ষেতে
এত কষ্ট পেয়েও ওদের চাই না ছেড়ে যেতে।
বন্ধুত্তের প্রতিশ্রতি
===========================
বন্ধু তোমার কি মনে আছে পুরানো সেই কথা?
বলেছিলে তুমি, “বন্ধু তুমি ছাড়া এই জীবনটাই বৃথা”
সেদিনের সেই বিপদের কালে, তুমি এসে ধরেছিলে হাত,
আজও আমি ভুলতে পারিনি সেই ভয়াল কাল রাত!
তোমার পানে তাকিয়ে ভুলেছিলাম আমার যত ভয়,
আমার স্মৃতির কোঠা থেকে এতটুকু হয়নি ক্ষয়!
জানি না কি অপরাধে তুমি ফিরায়ে নিয়েছো মুখ,
একবারও কি ভাব্লে না, আমি কতখানি পেলাম দুখ?
কি করে ভুলে গেলে আমাদের সেই পরিকল্পনা?
বন্ধু তোমার সাথেই তো এঁকেছিলাম এক স্বপ্নের আল্পনা।
জানতে কি ইচ্ছে হয় না তোমার, কেমন আছি আমি?
কখনোও কি ভাবলে না যে বন্ধুত্ব কতখানি দামী?
আজকে কোথায় তুমি? রয়েছ তুমি দূরে বহুদূর-
কিভাবে তাহলে বাজিছে আজ, পুরানো সেই সুর?
বন্ধুত্ব সদা অম্লান থাকে, কখনও কি পুরানো হয়?
পোষাক পাল্টে কি কখনও মানুষটাও পাল্টে যায়?
একবার দেখ পিছন ফিরে, এরপর না হয় যেও তুমি,
আমার মনের কোথায় তোমায় সযতনে রেখেছি আমি!
তুমি হয়ত মনে করছো আমি করছি যত অভিযোগ,
নতুন পুরানো সব কথা তুলে করছি যোগ আর বিয়োগ।
না বন্ধু না! এটা নয় আমার কোন আক্ষেপ অভিমান,
যদি তুমি চাও তবে আমি দিতে পারি তার প্রমাণ!
বন্ধুত্বের মধ্যে পাঁচিল তুলে করা যায় না ব্যবধান-
বন্ধুকে কখনও যায় না ভোলা হোক না তা তিরধান!
কিছু ভালো লাগা, মন্দ লাগা আর প্রতিজ্ঞা নিয়েই বন্ধুত্ব,
আত্মত্যাগের মহিমায় প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে তার মহত্ব।
অনন্তকাল ধরেও যদি আমায় অপেক্ষায় রাখ তুমি,
এক মুহুর্তের জন্যও তোমায় ভুলতে পারবোনা আমি।
জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে যখন থমকে যাবে সময়,
তখনও ভুলতে পারবোনা আমি বন্ধু শুধু তোমায়।
বন্ধুত্ব মানে,
================
বন্ধুত্ব মানে-
বয়সের সাথে বয়সের মিল নয়
বন্ধুত্ব মানে-
মনের সাথে মনের, গোপনে হয়ে যাওয়া পরিচয়।
বন্ধুত্ব মানে-
একাকীত্বের প্রতি অভিশাপ
বন্ধুত্ব মানে-
খুব প্রয়োজনে, খুঁজে পাওয়া ওই দুটি হাত।
বন্ধুত্ব মানে-
কবিতা কিংবা গানে
শব্দে-বর্ণে ছন্দের মতো নয়
বন্ধুত্ব মানে-
ছবির মতো করে
চোখে চোখ রেখে কথোপকথন নয়।
বন্ধুত্ব মানে-
মাটি আর আকাশে
সুদূরপ্রান্তে সংঘবদ্ধ দাবি
বন্ধুত্ব মানে-
সাগর-ঝর্ণা মাঝে
মিলনের তলে বয়ে চলা কোন নদী।
বন্ধু আমার, যেখানেই থেকে যাও
খুঁজে পেতে পারি হঠাৎ স্মরণে
বন্ধুত্বের ছলে, ছলে-বলে-কৌশলে
ধরা দিয়ো না মিছিমিছি ভালোবেসে;
বন্ধুত্ব মানে-
গোটা পৃথিবীটা তোমার
হতে পারে বন্ধুত্বের দাবিদার
বন্ধু আমার, বন্ধু তোমার,
বন্ধু তুমি হয়ে যেতে পারো সবার।
বন্ধুত্ব মানে-
বয়সের সাথে বয়সের মিল নয়
বন্ধুত্ব মানে-
মনের সাথে মনের, গোপনে হয়ে যাওয়া পরিচয়.
বাস্তব জীবন
==================
এই মুহুর্তে আমি ভীষণ বিরক্ত,
কম্পিউটার ভাইরাস করছে উত্যক্ত!
পারছিনা কোন কাজ ঠিকমত করতে,
কিভাবে করবো তাও পারছিনা জানতে!
একবার ভাবি সবকিছু ধুয়ে মুছে ফেলি,
চাইলেও কি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি?
ঝামেলার সাথে যুক্ত আছে কম্পিউটার-
বলতেও পারছিনা, ‘এটা কোন ব্যাপার!’
আমাদের জীবনেও কত সমস্যা রয়ে গেছে,
সেগুলোর অনেকটাই অসমাপ্ত হয়ে আছে!
আমারা তো নই মানুষরুপী কোন যন্ত্র,
বিকল হলে ঠিক করে দেবে কোন মন্ত্র!
আমাদের আছে আবেগের ছটা আর ভালবাসা,
আরও আছে আমাদের জীবনের কত আশা!
সামাজিক জীব হিসাবে আছে কত দায়িত্ব,
ঘরে বাইরে সবখানেই আছে কাজের গুরুত্ব!
এর পরে আছে কত সমস্যা! এড়ানো নাহি যায়,
চালাক মানুষগুলো ঠিকিই তো এড়িয়ে চলে যায়!
খুব সহজেই তো আমার কম্পিউটার বদলে ফেলি,
কিন্তু জীবনের সমস্যাগুলো কিভাবে এড়িয়ে চলি
ভালোবাসার অনেক
রঙ
==========================
ভালোবাসার অনেক রঙ
পায়না ভেবে কেউ
দেখলে তারে মনের কোণে
উথলে ওঠে ঢেউ।
সবকিছু শেষ করেও তবু
তারে করতে চায়যে আপন
পেছন ফিরে তাকায় না কেউ
কেমনে কাটবে আর সবার জীবন?
মনে ধরলে কারো রেহাই নেই আর
তারে চায়যে পেতে মন
ভালোবাসার ফুল ফোঁটাতে
সুযোগ খোঁজে যখন তখন।
সর্বনাশার জাল বুনে তবু
ভালোবাসার কাছে সবাই নত
এ যে এক ভয়ানক মাদক নেশা
হোক না বিপদ, হোক না হাজার ক্ষত।
মায়ার বন্ধন ছিঁড়ে গিয়ে তবু
মনের মানুষের হাত ধরে
অজানাতে পারি দিয়ে চলে
ছোট একটা কুটরি ঘরে।
ভালোবাসার আবেগ চলে
জলন্ত অগ্নি শিখার পথে
জেনেও তবু অবুঝের মতো সেই পথে ছোটে
যন্ত্রণা কষ্ট আর ধ্বংসের সাথে সাথে।
বুঝবে যখন, তখন ফেরার আর নেইকো সুযোগ
নেইকো কোন সংশোধনের উপায়
সারা জীবন ধরে এ শিখায় জ্বলতে হবে
যতই ভরা থাকুক দেহ, সোনা আর রুপায়।
শত্রুর সাথেই এক বিছানায় থাকতে হবে
মন না চাইলেও করতে হবে সঙ
এমনি জীবনের প্রকৃতি নিয়ে ছড়িয়ে আছে
ভালোবাসার অনেক রঙ।
ভালোবাসার অনেক
টান
===========================
ভালোবাসার অনেক টান
যায়না কভু ছাড়া
হাজার বিপদ সামনে দেখেও
দেয়যে তবু তাড়া।
গভীর রাতে দুর্গম পথ পেড়িয়ে
ছুটে যাই যে তার কাছে
পড়লে ধরা সর্বহারা
তবু যাব, ভাগ্যে যা আছে, আছে !
ঝোপের কাছে শেয়াল সেজে
ডাকে ভালোবাসার ডাক
সে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলে
ভুলে যায় সকল দুর্বিপাক।
রাস্তার পাশে কত দাঁড়িয়ে থাকি
সে কখন বুঝি আসে
তার মুখটা দেখলে প্রাণ জুড়ে যায়
হৃদয় আবেগে ভাসে।
তার জন্য তার বাড়ির পাশে অনেক
দাঁড়িয়ে থেকেছি নেহাত
সে একটু যদি উঠোনে বের হয়
তবেই হৃদয়টা হয় মাত।
তারে একবার যখন ছুয়েছি গায়ে
থাকতে পারিনা আর
মনে হয় যখন তখন যাই ছুটে যাই
তার বুকের ভিতর আবার।
দেখা হবে তার সাথে যেদিন
সেদিন ছটফট করে মন
তারে নিয়ে কি যে করি
হুঁশ থাকেনা তখন।
যখন তার শরীরে বাজাই বাঁশি
সে উন্মাদ আমার সুরের ঝঞ্ঝনায়
তখন বুঝিনা আমারা যাচ্ছি কোথায়
কোন আপন মহিমায়।
হঠাৎ যেদিন হারিয়ে গেলো
সে যে অনেক দূরে
তবু এই মনেতে বিশ্বাস করি
সে নিশ্চয়ই আসবে ফিরে।
জানিনা তবু কেমন করে
এরপরেও সে সুখে বেঁধেছে ঘর
সব অনুরাগ তুচ্ছ করে
সে আমায় করতে পারলো পর?
সামনে দেখলে সে চেনেনা
তার মনের একি বাহার
এতো দিনে সে বুঝিয়ে দিলো
দুনিয়াতে কে কাহার।
অথচ আমায় ছাড়া সে বাঁচবে না
এটাই ছিল তার সব সময়ের গান
সত্যি বাস্তবতার এই দুনিয়ায়
ভালোবাসার অনেক টান।
ভুল বুঝ
না
আমায়.......
===========================
হাসো! হাসো না কেন? আমিই তো হাসির পাত্র!
যত খুশি হেসে ছুড়ে ফেলে দিও যত্র-তত্র!
যেথায় খুশি ফেলে দিও, কি বা যায় আসে তাতে?
আর আমি বিরক্ত করবনা দিনে কিংবা রাতে।
মানুষ হিসাবে যেটুকু ছিল প্রাপ্প মুল্যায়ন-
অনেক পেয়েছি, তাতেই আমার ভরে গেছে দুনয়ন!
কি নির্বধ আমি! অধিকারের সীমা করে অতিক্রম-
কি পেলাম আমি? পরিশেষে হল আমার মতিভ্রম!
ভুলেই গেছিলাম, চাওয়া-পাওয়া কিছু থাকতে নেই আমার,
তাই তো মাত্রা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছি বারংবার!
“কি
বলছো! এতে আমার হয়ে
কিছু বদনাম?
হাসালে! আমার ছিল এক্টা কাগজের থেকেও কমদাম!”
ভুল! ভুল! কিছুই যে আমি বুঝতে পারিনি তখন,
বড় দেরি হয়ে গেল, ভুল্টা বুঝতে পারলাম যখন!
না না! ভয় নেই! আজ এর কাউকে দোষ দেব না আমি,
কতখানি কষ্ট পেয়েছি তা হানি আমি এর অন্তর্যামি!
কি হল? হাসছো না? আমি তো রয়েছি বহুদূরে,
ভয় নেই! তোমাদের জ্বালাতে আমি আসবনা এর ফিরে!
এক্টু তো হাসো! যাবার আগে দেখি তোমের হাসি মুখ,
আমার কপালে হয়ত তা জমা রবে হয়ে কিছুটা শুখ!
খুব ভাল লাগ্লো যখন জান্লাম তুমিও নও ব্যতিক্রম,
আগেই যদি বুঝতাম তবে হয়ত হত না এই বৃথাশ্রম!
দাড়াও, এক্টু হেসে নেই! এটুকু সময় তো অন্তত দেবে?
আমি কষ্ট পাই না পাই, তুমি তো নিশ্চই আনন্দ পাবে!
আজ বুঝলাম আমি আমার সীমা করেছিলাম লঙ্ঘন,
তাই তো চলে যাচ্ছি ছিন্ন করে সকল বাঁধন!
ভেবনা! আজ এর আমার মনে জমা নেই কোন ক্ষোভ,
কন পরিতাপ নেই, দুঃখ নেই, এর নেই কোন লোভ!
অনেক চেষ্টা করেও যখন বঝাতে পারলাম না তোমায়,
এক্টু এক্টু করে তখন পার হয়ে গিয়েছে সময়!
পোড়া কপাল! হতভাগা আমি! বুঝতে পারিনি কিছুই,
অহেতুক আস্ফালন করে করে কষ্ট দিয়েছি শুধুই!
তাও ভাল, দেরি হলেও ভেঙ্গে গেছে আমার ভুল,
কি আসে যায়, কন্টা হল অনুকূল অথবা প্রতিকূল?
আজ কেন পরছে মনে তোমার কথা ক্ষনে ক্ষনে?
এতটুকু জায়গা যখন করতে পারলাম না তোমার মনে!
দেখ তো কান্ড! শুধু শুধু সময় করছি নষ্ট-
ব্যবধানের দেয়াল গড়ে উঠেছে দেখতে পেলাম স্পষ্ট!
একদিন আমি ঘুমিয়ে যাব উঠব না আর জেগে,
ভালই হবে, তখন তুমি মুখ কালো করবেনা রেগে!
অনেক বেশি চেয়েছিলাম সীমা গিয়েছিলাম ছাড়িয়ে,
আজ তাই চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে হারিয়ে!
বিদায় কালে এক্টা কথা বলে দিতে চাই তোমায়,
শেষ অনুরোধ টা রেখ, ভুল বুঝ না আমায়!
যদি একবার বলতে
=====================
যদি একবার বলতে
আমি তোমায় ভালবাসি
যদি একবার তুমি
আমায় বলতে
অচেনা কুহকে গড়ে যাই আমি
শুধু চেহারা তোমার,
কখনো ভাবিনি তেমাকে বিনা
বাঁচা এতে কঠিন
হবে আমার।
পারছিনা কিছু বলতে,
পারছিনা ব্যাথা সইতে।
হ্রদয়ে আছে যে ছবিটি তেমার,
কি করে পারি
সেটি মুছতে।
আমি ভালবেসেছি তোমায়
পাগলের মত,
কিন্তু তুমি কখনো
পারলেনা তা চিনতে।
তোমাকে চাওয়ার অবাস্তব নেশা
আমাকে করেছে গ্রাস।
তেমাকে চাওয়ার নেই কোন
শুরু ও শেষ আমার।
তুমি বিনা জীবন
আমার
নির্মূল শাস্তি হয়ে উঠেছে
সমুদ্র থাকতেও এক বিন্দু
জ্বল আমার তৃষ্না হয়ে উঠেছে।
আমার মত কে তোমায়
এত ভালবাসবে,
তোমার কষ্টের সময় সর্বদাই
এই প্রেমিকই ছুটে
আসবে।
কথা চিরে বাক্য বেরিয়ে এসে
প্রবেশ করবে তোমার মনের কুটিরে
খুলে যাবে তোমার হ্রদয়ের
সব বন্ধ দুয়ার।
আমিও হাঁসবো আবার
আগের মত,
আমি তোমায় ভালবাসি
যদি একবার তুমি
আমায় বলতে।।
দর্শী মেয়ে
=============
সুন্দর করে নিপুন সাঁজে
সে এসেছিল কি যেন কাজে!
বুঝতে পারিনি আমার জন্য তার
মনে অনুরাগের বাঁশি বাজে।
বারান্দায় রকিং চেয়ারে বসে
দোলে দোলে নরিচরি
নীচে দেখি কে যেন দাঁড়িয়ে
কে গো তুমি রুপের পরী?
মুখটা তুলে উপড়ে তাকায়
আমি কি ভিতরে আসতে পারি?
আমি তো অবাক! কি করি না করি
ছুটে নীচে যাই তাড়াতাড়ি
ও বুঝেছি... আমায় দেখে হননি খুশি?
আজ মনটা দেখছি বেজায় ভারী,
তাহলে আমি কি ফিরে যেতে পারি?
দেখ, না বসেই চলে যাবে?
এটা কিন্তু বড়ই বাড়াবাড়ি।
ও আচ্ছা, তাহলে চলেন দেখি
আপনার বিলাসবহুল জমিদারি।
আমি বড়ই ভাবুক মানুষ
আমার দাঁড়ায় হয়না কোন, দিবসে উচ্ছ্বাস।
আপনাকে খুব মিছ করেছি সেদিন,
যেদিন ছিল পহেলা বৈশাখ।
আপনি কখনো বুঝতে চাননি,
এই মানুষটা একটু শান্তি পাক।
তার কথা শুনে মাথা নিচু করে
নিজের প্রতি নিজেই করি রাগ,
আমিতো জানি, তার হৃদয়ে কত রয়েছে ক্ষত
রয়েছে কত যন্ত্রণার দাগ।
এদিকে আকাশে ঘন মেঘ জমে জমে
বিদ্ধুৎ চমকিয়ে দিচ্ছে মেঘের ডাক
ধীরে ধীরে বাইরে থেকে আসছিলো
এক ঝরো বাতাসের হাক।
দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে
দুজনের আড্ডা চলেছিল বেশ
ক্রমে ক্রমে আসছিলো তার মনে
আবেগে ভরা এক উদ্দীপনার রেশ।
চুপ থেকে থেকে তাকিয়ে চোখে
চোখ রেখেছে অনেকক্ষণ
সে মনে মনে কত গভীরে গিয়েছে
বুঝিনি আমি তারে তখন।
এদিকে আমিও যে তারে নিয়ে
ভেসে চলেছি মনের অজানা দ্বীপে
হৃদয়ের জলোচ্ছ্বাসে ভিজিতে তারে
ঢেউয়ের তালে উঠেছি ছেপে ছেপে।
সন্ধ্যা পেড়িয়ে রাত্রি পড়লো
হটাৎ বিদ্ধুৎ হয়ে গেলো বন্ধ
তিমির আঁধার রুমে ছেয়ে গিয়ে
সব হয়ে গেলো যেন অন্ধ।
উৎকণ্ঠায় নিরবে কিছুক্ষণ থেকে
মন যেতে চায় তার পাশে
তার মনেও যে বয়ে চলেছিল
সে আসবে আমার বুকের কাছে।
উঠে দাঁড়িয়ে সাহস করে যখন
আমি পা বাড়িয়েছি তার কাছে
যেতেই দেখি সে হাতরিয়ে
আমায় খুঁজে পায় তার পাশে।
অন্ধকারে তারে হাতে পেয়ে
সাহসাই বুকে নেই জড়িয়ে
সেও জড়িয়ে ঝড়ের মতো করে
আবেগে আমার বুকে বেড়ায় তাড়িয়ে।
তৃষ্ণার উত্তাপে হয়ে দিশেহারা
শরীর জুড়ে দিয়েছি যখন হানা
আমাতে উচ্ছ্বাসে সে পাগল হয়েছে,
উদ্দীপনার যন্ত্রণা পেয়েও তবু করেনি মানা।
এদিকে ঝড়বৃষ্টি থেমে গিয়ে যখন
চারদিক আবর্জনা আর পানি থৈ-থৈ
আমাদেরও ঝর থেমে গিয়ে ক্লান্ত শরীর
দেহের নিথরতা, যেন নেই কোন হৈ-চৈ।
হটাৎ করে বিদ্ধুতের ঝলকানিতে
রুমে যখন আলো চারদিকেতে ঝরে
চোখটা মেলে সে, আমায় একবার দেখে
চাপটে ধরে বুকে আবার মুখ লুকিয়ে পড়ে
বলি, এমন করে আবার এসো
খরতাপ চৈত্র মাসের পরে
তোমার আমার সঙ হবে তবে
এমন বৈশাখের এক কমকা ঝড়ে।
সম্পর্ক
__________
তুমি তো জানোই আমি সামাজিকভাবে
কোনওদিন পুরোপুরি তোমার হব না ।
আমিও তো জানি তুমি আমার একার জন্য নও ।
তা হোক না । তা আমার বেশি ।
আমি কি কি চাই ?
সুর কানে প্রবেশ করবে ।
হাত সে শান্ত হবে হাতে ।
শরীর কখনও হবে, কখনও হবে না ।
সামাজিক ভাবে , বলো,
কারো কিছু ক্ষতি আছে তাতে ?
মনে মনে সঙ্গে থাকি ।
যে পথে কলেজ থেকে ফেরো
সে -রাস্তায় মনে মনে যাই ।
বাস্তবেও গেছি দু'একবার ।
তোমার বন্ধুকে তুমি বললে
আমার কথা
বলতো কি পরিচয় দিয়েছো আমায়।
সারাদিন তোমায়
ভেবে
==========================
সারাদিন তোমায় ভেবে
হলো না আমার কোন কাজ
হলো না তোমাকে পাওয়া
দিন যে বৃথাই গেল আজ
সারাদিন গাছের ছায়ায়
উদাসী দুপুর কেটেছে
যা শুনে ভেবেছি এসেছো
সে শুধু পাতারই আওয়াজ
হাওয়া রা হঠাৎ এসে জানালো
তুমি তো আমার কাছে আসবে না
এক হৃদয় হয়ে ভাসবে না
তবে কি একাই থাকবো
তবে কি আমার কেউ নেই
সারাদিন যেমন কেটেছে
তেমনি যাবে গো সাঁঝ
সারাদিন তোমায় ভেবে
হলো না আমার কোন কাজ
হলো না তোমাকে পাওয়া
দিন যে বৃথাই গেল আজ
অভিমান
=============
সেদিনও এসেছিল বসন্ত-
বুকে ছিল ভালবাসা-অফুরন্ত;
তুমি আসবে বলে-
এনেছিলাম ফুল-গোলাপ-কদম-কৃষ্ণচূড়া;
লিখেছিলাম-গান,কবিতা,আর ভালবাসার ছড়া।
তবুও তুমি এলে না-
ভালবাসা দিলে না…
আজও তুমি জেনে নাও-
ভালবাসা না দাও-
শুধুই ভালবাসা নাও।
আর কিছুই চাইনা আমি-
হাসিমুখে ব্যাথা দিলে তুমি।
জানি আমি-
জানি আসবেই ফিরে একদিন;
মরণের আগে-পরে,হয়তো কোনদিন।
….যদি
তুমি ফিরে আসো-
কোন এক শ্রাবণ মাসে…
হয়তো আমায় নয়-
স্মৃতিগুলো পাবে পাশে…।।
স্বপ্নে—
=========
স্বপ্নে তোকে বাড়ির দিকে এগিয়ে দিতে যাই
স্বপ্নে এসে দাঁড়াই পাড়ার মোড়ে
কখন তুই ফিরবি ভেবে চারিদিকে তাকাই
টান লাগাই তোর বিনুনি ধরে।
স্বপ্নে আমি ভিক্টোরিয়ায় তোর পাশে দাঁড়াই
স্বপ্নে বসি ট্যাক্সিতে তোর পাশে
স্বপ্নে আমি তোর হাত থেকে বাদাম ভাজা খাই
কাঁধ থেকে তোর ওড়না লুটোয় ঘাসে।
তুলতে গেলি – কনুই ছুঁলো হাত
তুলতে গেলি – কাঁধে লাগলো কাঁধ
সরে বসব? আকাশভরা ছাতে
মেঘের পাশে সরে বসল চাঁদ।
ক’টা বাজলো? উঠে পড়লি তুই
সব ঘড়িকে বন্ধ করল কে?
রাগ করবি? হাতটা একটু ছুঁই?
বাড়ির দিকে এগিয়ে দিচ্ছি তোকে…
স্বপ্নে তোকে এগিয়ে দিই যদি
তোর বরের তাতে কি যায় আসে?
সত্যি বলছি, বিশ্বাস করবি না
স্বপ্নে আমার চোখেও জল আসে!
স্বপ্নে ------!
মেঘবালিকা
=================
আমি যখন ছোট ছিলাম
খেলতে যেতাম মেঘের দলে
একদিন এক মেঘবালিকা
প্রশ্ন করলো কৌতুহলে
“এই
ছেলেটা,. নাম কি রে
তোর?”
আমি বললাম,. “ফুসমন্তর
!”
মেঘবালিকা রেগেই আগুন,
“মিথ্যে
কথা । নাম
কি অমন
হয় কখনো ?”
. আমি
বললাম,
“নিশ্চয়ই
হয় । আগে
আমার
গল্প শোনো ।”
সে বলল, “শুনবো না যা-
সেই তো রাণী, সেই তো রাজা
সেই তো একই ঢাল তলোয়ার
সেই তো একই রাজার কুমার
পক্ষিরাজে
শুনবো না আর ।
. ওসব
বাজে ।”
আমি বললাম, “তোমার জন্য
নতুন ক’রে লিখব তবে ।”
সে বলল, “সত্যি লিখবি ?
বেশ তাহলে
মস্ত করে লিখতে হবে।
মনে থাকবে ?
লিখেই কিন্তু আমায় দিবি ।”
আমি বললাম, “তোমার জন্য
লিখতে পারি এক পৃথিবী ।”
লিখতে লিখতে লেখা যখন
সবে মাত্র দু-চার পাতা
হঠাৎ তখন ভুত চাপল
আমার মাথায়-
খুঁজতে খুঁজতে চলে গেলাম
ছোটবেলার মেঘের মাঠে
গিয়েই দেখি, চেনা মুখ তো
একটিও নেই এ-তল্লাটে
একজনকে মনে হল
ওরই মধ্যে অন্যরকম
এগিয়ে গিয়ে বলি তাকেই !
“তুমি
কি সেই ? মেঘবালিকা
তুমি কি সেই ?”
সে বলেছে, “মনে তো নেই
আমার ওসব মনে তো নেই ।”
আমি বললাম, “তুমি আমায়
লেখার কথা বলেছিলে-”
সে বলল, “সঙ্গে আছে ?
ভাসিয়ে দাও গাঁয়ের ঝিলে !
আর হ্যাঁ, শোন-এখন আমি
মেঘ নই আর, সবাই এখন
বৃষ্টি বলে ডাকে আমায় ।”
বলেই হঠাৎ এক পশলায়-
চুল থেকে নখ- আমায় পুরো
ভিজিয়ে দিয়ে-
. অন্য
অন্য
বৃষ্টি বাদল সঙ্গে নিয়ে
মিলিয়ে গেল খরস্রোতায়
মিলিয়ে গেল দূরে কোথায়
দূরে দূরে…।
“বৃষ্টি
বলে ডাকে আমায়
বৃষ্টি বলে ডাকে আমায়-”
আপন মনে বলতে বলতে
আমিই কেবল বসে রইলাম
ভিজে একশা কাপড়জামায়
গাছের তলায়
. বসে
রইলাম
বৃষ্টি নাকি মেঘের জন্য
এমন সময়
অন্য একটি বৃষ্টি আমায়
চিনতে পেরে বলল, “তাতে
মন খারাপের কি হয়েছে !
যাও ফিরে যাও-লেখ আবার ।
এখন পুরো বর্ষা চলছে
তাই আমরা সবাই এখন
নানান দেশে ভীষণ ব্যস্ত
তুমিও যাও, মন দাও গে
তোমার কাজে-
বর্ষা থেকে ফিরে আমরা
নিজেই যাব তোমার কাছে ।”
এক পৃথিবী লিখবো আমি
এক পৃথিবী লিখবো বলে
ঘর ছেড়ে সেই বেড়িয়ে গেলাম
ঘর ছেড়ে সেই ঘর বাঁধলাম
গহন বনে
সঙ্গী শুধু কাগজ কলম
একাই থাকব । একাই দুটো
ফুটিয়ে খাব—
. দু
এক মুঠো
ধুলো বালি-যখন যারা
আসবে মনে
. তাদের
লিখব
লিখেই যাব !
এক পৃথিবীর একশোরকম
স্বপ্ন দেখার
সাধ্য থাকবে যে-রূপকথার—
সে রূপকথা আমার একার ।
ঘাড় গুঁজে দিন. লিখতে লিখতে
ঘাড় গুঁজে রাত. লিখতে লিখতে
মুছেছে দিন—মুছেছে রাত
যখন আমার লেখবার হাত
অসাড় হল,. মনে
পড়ল
সাল কি তারিখ, বছর কি মাস
সেসব হিসেব. আর
ধরিনি
লেখার দিকে তাকিয়ে দেখি
এক পৃথিবী লিখব বলে
একটা খাতাও. শেষ
করিনি ।
সঙ্গে সঙ্গে ঝমঝমিয়ে
বৃষ্টি এল খাতার উপর
আজীবনের লেখার উপর
বৃষ্টি এল এই অরণ্যে
বাইরে তখন গাছের নিচে
নাচছে ময়ূর আনন্দিত
এ-গাছ ও-গাছ উড়ছে পাখি
বলছে পাখি, “এই অরণ্যে
কবির জন্যে আমরা থাকি ।”
বলছে ওরা, “কবির জন্য
আমরা কোথাও আমরা কোথাও
আমরা কোথাও হার মানিনি—”
কবি তখন কুটির থেকে
তাকিয়ে আছে অনেক দূরে
বনের পরে, মাঠের পরে
নদীর পরে
সেই যেখানে সারাজীবন
বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে,
সেই যেখানে কেউ যায়নি
কেউ যায় না কোনদিনই—
আজ সে কবি দেখতে পাচ্ছে
সেই দেশে সেই ঝরনাতলায়
এদিক-ওদিক ছুটে বেড়ায়
সোনায় মোড়া মেঘহরিণী—
কিশোর বেলার সেই হরিণী ।
শিরোনামহীন
=================
আমার আর নিঃশ্বাস নেয়া হয়নি
তোমার সাথে শেষ কথা হওয়ার পরে
শ্বাসপ্রশ্বাস এখন চরমপন্থি,বরফের মত
জমাট বেধেছে শিরা-প্রতিশিরায়।
শ্বাসরোধ হয়ে মরাও
ভাল লাগেনা
কিন্তু এভাবে আমি আর
বাঁচতে পারছিনা,
স্থির সময়ের মাঝে,
তোমার নিরর্থক আপেক্ষার মাঝে।
হারানো সৃতিগুলো আমার
পথে
কাঁটা হয়ে দড়িয়েছে।
ভেবেছিলাম ডাক দিব তোমায়,,
কিন্তু কিভাবে
অভিবাদন করবো তোমায়?
নাম দিয়েছি
ভালবাসা
===========================
আমরা মিশিনি ভালোবেসে সব
মানুষ যেভাবে মেশে,
আমরা গিয়েছি প্রাজ্ঞ আঁধারে
না-জানার টানে ভেসে।
ভাসতে ভাসতে আমরা ভিড়িনি
যেখানে নদীর তীর,
বুনোবাসনার উদ্বেল স্রোতে
আশ্লেষে অস্থির।
আমরা দুজনে রচনা করেছি
একে অপরের ক্ষতি,
প্রবাসী প্রেমের পাথরে গড়েছি
অন্ধ অমরাবতী।
আমরা মিশিনি বিহবলতায়
শুক্রে-শোণিতে-স্বেদে,
আমাদের প্রেম পূর্ণ হয়ে।
No comments:
Post a Comment